শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।
১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দু’দিন আগে ঘটে এক মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ। তারা বেছে বেছে অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে।
পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করার এ নীলনকশা প্রণয়ন করে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। পাকবাহিনীর অস্ত্র সহায়তা নিয়ে তাদের ছত্রচ্ছায়ায় আধাসামরিক বাহিনী আলবদরের ক্যাডাররা এ বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে। পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষে বুদ্ধিজীবী নিধনের এ পরিকল্পনা করে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী।
১৯৭২ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ৯৯১ ছিলেন শিক্ষাবিদ, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী ও ১৬ সাহিত্যিক, শিল্পী ও প্রকৌশলী।
বুদ্ধিজীবী নিধনের এ তালিকায় ঢাকা বিভাগে ২০২ শিক্ষক ও ১০ আইনজীবী ও চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৪ শিক্ষক ও ১০ আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। খুলনা বিভাগে ২৮০ শিক্ষক ও ছয় আইনজীবী, রাজশাহী বিভাগে ২৬২ শিক্ষক ও ১৫ আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। এ তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম ছিল না।