বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে শিল্পকলা একাডেমিতে।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া চতুর্দশ জাতীয় পিঠা উৎসব-২০২১ চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত।
জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উৎসবের আয়োজন করেছে। এবারের উৎসবে সারা দেশ থেকে অর্ধশতাধিক স্টল অংশ নিয়েছে।
বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী সব পিঠার সমাহার দেখা গেছে মেলায়। পরিচিতের মধ্যে ভাপা, পুলি, দুধ পুলি, পোয়া পিঠা তো আছেই। রয়েছে মজার-সুস্বাদু ও নজরকাড়া পিঠা। নামগুলোও মনোহর। বিবিখানা, চিকেন কলসি পুলি, আলো ডোবা, মাছ পিঠা, মুগ পাকন, নানখাতা পিঠা, মালাই ঝিনুক, হৃদয় হরণসহ নতুন সব পিঠা রয়েছে উৎসবে।
মাছ পিঠা বানানো হয় রুই মাছের পুর দিয়ে। আলো ডোবা পিঠা দেখতে আলুর মতো, যা রসে ডোবানো হয় বলে এমন নাম।
চিরুনি ঝিনুক পিঠা দেখতে অনেকটা ঝিনুকের মতো, যার মুখে আবার রয়েছে চিরুনির মতো দাঁত। আর হৃদয় হরণ পিঠা দেখতে মানুষের হৃদয়ের মতো। চিকেন কলসি পুলি পিঠা দেখতে অনেকটা কলসির মতো।
বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মঞ্চসারথি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান ও নৃত্যগুরু আমানুল হক।
প্রধান বক্তা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ম হামিদ। উৎসবের উদ্বোধনে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পিঠা উৎসবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম।
উদ্বোধনের পর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এ সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘পিঠা উৎসব এ দেশের সংস্কৃতির অংশ। গ্রামগঞ্জে আগে এগুলো হতো। তবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে পিঠা উৎসব চার দেয়ালের মধ্যে এসে গেছে। সারা দেশে যেখানে যে পিঠার কদর রয়েছে, জাতীয় পিঠা উৎসবে আমরা সেই পিঠা দেখতে পাচ্ছি। করোনার কারণে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেমেই গিয়েছিল। এখন সেটা শুরু হয়েছে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। পিঠা উৎসবও দেশের বাঙালি জীবন চর্চার অংশ।