
করোনাভাইরাস উপসর্গহীনভাবে অনেকের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। উপসর্গহীন আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা যাচাইয়ে ২৪ জানুয়ারি অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমোদন দেয় সরকার।
কিন্তু অনুমোদনের এক মাসের বেশি সময় পার হলেও কোনো হাসপাতালে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা সম্ভব হয়নি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এখনও কিছু জানে না। তারা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে গণটিকাকরণ চলছে। অনেকের শরীরে উপসর্গহীন করোনা রয়েছে। তাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না, তা দেখতে অ্যান্টিবডি টেস্ট জরুরি। এমনকি যারা টিকা নিয়েছে, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা যাচাইয়েও এই টেস্ট করার প্রয়োজন রয়েছে।
দেশে অধিকাংশ হাসপাতালে অ্যান্টিবডি টেস্টের সক্ষমতা থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতায় পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে সরকারকে বিশেষ নজর দিতে আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
দেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর থেকেই বিশেষজ্ঞরা এ ভাইরাসে আক্রান্তের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না, তা জানতে অ্যান্টিবডি টেস্টের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
১০ মাস পর ২৪ জানুয়ারি এ ধরনের পরীক্ষার অনুমোদনের বিষয়টি জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি বলেন, ‘দেশে অনেকের দাবি ছিল অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি দেয়ার। এখন এটা চালু করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। আজ আপনাদের যখন বললাম, তখন থেকেই এটা চালু হয়ে গেল।’
তবে মন্ত্রীর এ ঘোষণার পর এক মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এখনও কিছু জানে না।