সংগীতশিল্পী মিলার বিরুদ্ধে এসিড হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াজেদ আলী আজ শুক্রবার বলেন, ‘সম্প্রতি মিলা ও তাঁর সহযোগী কিমকে গ্রেপ্তারের জন্য আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় আসার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মিলার মিরপুরের বাসায় তল্লাশি চালাই। তবে এখনো তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এবং এসিড ট্রাইব্যুনালের জজ শওকত আলী চৌধুরী আসামি মিলা ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের গত ৫ জুন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মিলার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় মিলা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন পিস জন পিটার হালদার কিম। তাঁকে মিলার সহযোগী দেখানো হয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ জুন সন্ধ্যায় এসিড হামলার শিকার হন বলে গণমাধ্যমকে জানান মিলার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারি। ওই দিন রাত ৮টার দিকে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টর এলাকার ৭/বি সড়কে এই ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
২০১৭ সালের অক্টোবরে মিলা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর পারভেজ সানজারি গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। পরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ৯ নম্বর আদালতে মামলার বিচার চলছে।
এর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মিলা ও পারভেজ সানজারি। দুই মাস পরেই তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
এ ছাড়া মিলার বিরুদ্ধে তাঁর সাবেক স্বামী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা করেছেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট তদন্ত করছে।