২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের রপ্তানি আয় ৪০০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালার খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বলেন, বর্তমানে এ শিল্পের রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার। কর্মসংস্থান ৩০ হাজার। ২০২৫ সালের মধ্যে কর্মসংস্থান এক লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যে এ নীতিমালা করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ রুটে নৌ চলাচল বাড়ানো, জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উৎপাদন বাড়ানো, সংযোগ শিল্পের বিকাশ, কর্মসংস্থান বাড়ানো, আমদানি কমিয়ে দেশীয় জাহাজ নির্মাণ ও রপ্তানি সক্ষমতা অর্জন এই নীতিমালার উদ্দেশ্য।
আজ পাঁচটি বিষয় নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়। অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড নিবন্ধন ও পরিচালনা বিল ২০২১ অনুমোদন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনে ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালিত হবে, দেশি-বিদেশি ট্যুর অপারেটরদের কীভাবে অনুমোদন দেয়া হবে সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। এই আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গাইডদের নিবন্ধন দেয়ার জন্য সরকার গেজেট করে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো গাইড ট্যুর পরিচালনা করতে পারবে না।
শিল্পকারখানার দুর্ঘটনা মোকাবেলায় ১৯২৩ সালের বয়লার আইনকে যুগোপযোগী করে বয়লার আইন ২০২১ পাসের জন্য এটির খসড়া নিয়েও আলোচনা হয় মন্ত্রিসভায়।
২০০৯ সালের পর থেকে দেয়া পেনশন কার্যক্রম সহজীকরণ করার বিষয়েও মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয় বলে জানান সচিব আনোয়ারুল।