প্রধান প্রতিবেদন

সরকার শিক্ষার্থীদের জামা জুতা ব্যাগ কেনার টাকা দিচ্ছে

বিনা খরচে বইয়ের পর এবার শিক্ষার্থীদের জামা, জুতা ও ব্যাগ কিনতে টাকা দিচ্ছে সরকার। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, এজন্য এক হাজার টাকা করে পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। আজ সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেয়ার পর এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, করোনার কারণে বন্ধ স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গে নগদ-এর মাধ্যমে এ টাকা পৌঁছে যাবে।

চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীকে সরকার বিনা খরচে বই দিয়েছে। এ হিসেবে জামা, জুতা ও ব্যাগ কিনতে সরকার দেবে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার মতো।

অনুষ্ঠানে মোবাইল ফিনান্সিয়াল পদ্ধতিতে দেশের আট উপজেলায় ৮৬ হাজার ৪৫২ শিক্ষার্থীকে তিন কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার ২২৫ টাকা উপবৃত্তির টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পর্যায়ক্রমে অন্য সব জেলা ও উপজেলার শিক্ষার্থীরাও একই পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনে উপবৃত্তির টাকা পাবে।

২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের শিক্ষার্থীদের মা অথবা সুবিধাভোগীদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা পাঠানো শুরু করে সরকার। এখানে দুর্নীতির অভিযোগ এলে, গেল বছরের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার ‘নগদ’-এর সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

এ চুক্তির বিশেষত্ব হলো, এর পোর্টালে শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন নম্বর এন্ট্রি করা, সব মা বা অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর যাচাই করে অর্থ বিতরণ করা।

প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক স্তরে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা আনা ও দুর্নীতি কমাতে এখন থেকে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিং সার্ভিস নগদকে বেছে নিয়েছে সরকার। সব শিক্ষার্থীর জন্য মাসিক ১৫০ টাকা হারে তিন মাসের ৪৫০ টাকা পাঠানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, উপবৃত্তির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশে উন্নীত করা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় ৯৬ শতাংশ অতিক্রম করা, ঝরে পড়ার হার ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button