
মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় আগামীকাল সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে এবং আগামী ১ জুলাই থেকে সাত দিন সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করছে সরকার। এদিকে লকডাউন সামনে রেখে কয়েকদিন ধরে হাজার হাজার মানুষ গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। আজ রবিবারও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। যাত্রীর চাপে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারমুখী ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বাড়লেও অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না।
পুলিশের বসানো চেকপোস্ট উপেক্ষা করে বিভিন্ন পথে ছোট যানবাহনে যাত্রীরা ঘাট এলাকায় উপস্থিত হচ্ছেন। ঘাটে পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, ‘নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। ঘাট এলাকায় সাড়ে চার শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে।’
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, যাত্রীদের ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে।
সময় পূর্বাপর/ হোসেন শাহাদাত