মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দূত কিয়াও মো তুন।
অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকারের পক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।
সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে শুক্রবার আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এর আগে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান আন্দোলন থামাতে মারমুখী ছিল দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইলেন সংস্থাটিতে মিয়ানমারের দূত কিয়াও।
সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান কিয়াও। তিনি বলেন, ‘সামরিক অভ্যুত্থানের দ্রুত অবসান, নির্দোষ মানুষদের ওপর অত্যাচার বন্ধ, জনগণের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ আমাদের দরকার।’
মিয়ানমারকে নিয়ে বিশেষ এক বৈঠকে সামরিক অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিতে জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানান কিয়াও।
মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে বা সহযোগিতা না করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান কিয়াও। গত বছরের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ফলকে মেনে নিতে সেনাবাহিনীকে বাধ্য করার কথা আন্তর্জাতিক মহলকে বলেন তিনি।
১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওই দিনই আটক করা হয় শান্তিতে নোবেলজয়ী নেতা সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ কয়েক শ নেতা-কর্মীকে। আটক হওয়া নেতাদের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছে দেশটির হাজারো মানুষ।