
মালদ্বীপে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বৈধতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
গতকাল সোমবার রাতে চার দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসছেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লা শহিদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের আমন্ত্রণে তার এই সফর বলে রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সফর শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লা শহিদ।
বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন মোমেন ও শহিদ। এতে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশটির রাজধানী মালেতে বসবাসরত কাগজপত্রহীন বাংলাদেশিদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে ও আইনগত সুবিধা নিশ্চিতে বৈধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেবে এ সংখ্যা লাখেরও বেশি।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের উদ্দেশ্য অভিন্ন। প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে দুই দেশ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ফোরামে পরস্পরকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মালদ্বীপে নার্স পাঠিয়ে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া দুই দেশ পারস্পরিক সম্পর্ক কাজে লাগাতে জয়েন্ট কমিশন গঠন, মালদ্বীপে জনশক্তি রপ্তানি চুক্তি, দুই দেশের কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ, জাহাজ চলাচল ও কানেক্টিভিটি বাড়াতে একমত হয়েছে।
সফরে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শহিদের।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ এক সময় নারিকেল চাষ ও মৎস্য শিকারের ওপর নির্ভরশীল ছিল। পর্যটনকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে দেশটি।
বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অনেক পুরোনো। দেশটিতে প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি বৈধভাবে বসবাস করছে। অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। তাদের বেশিরভাগ দেশটির পর্যটনশিল্পে কাজ করেন।