
এক মাস আগে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় আপন অর্নামেন্টস নামের একটি দোকানে স্বর্ণালংকার চুরি হয়। দোকানি বিষয়টি টের পান রাতে। ক্রেতা সেজে সে চোরের দল আবার আসে সোমবার। তখন দুজন নারী ও এক তরুণ ছিল।
তারা স্বর্ণালংকার কেনার আগ্রহ দেখান। দোকানি একে একে স্বর্ণালংকার দেখান। কিন্তু কোনোটিই তাদের পছন্দ হয় না। একপর্যায়ে কৌশলে একটি আংটি ও একটি নাকফুল সরিয়ে ফেলেন। দোকানি তখনও টের পাননি। এরপর দলটি দোকান থেকে বেরিয়ে কিছু দূর যায়। স্বর্ণালংকার গুছিয়ে রাখতে গিয়ে দোকানি টের পান দুটি খোয়া গেছে। পড়িমরি করে ধাওয়া দিয়ে ধরে আনেন তিনজনকে।
তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করেন তারই দোকানের সোনার নাকফুল ও আংটি। পরে তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। ঠুকে দেন মামলা।
ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারা হলেন কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী সদস্য মোসা. আরজ খাতুন এবং তার সহযোগী একই এলাকার শাহাদত হোসেন ও কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার পাখি বেগম।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলা সদরের আপন অর্নামেন্টসে ৩ ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের চেইন ও ১ জোড়া কানের দুল চুরি হয়। ওই দিন রাতে স্টক হিসাব করতে গিয়ে গরমিল ধরা পড়ে। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরিচিত এক নারী চোরকে শনাক্ত করেন দোকানটির মালিক। তবে তার কোনো হদিস পায়নি।
ওই ঘটনার এক মাস পর সোমবার আবারও একই দোকানে আসে চোরের দল। তবে এবার চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক মাস আগের চুরির সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত হন দোকানি।
এ ঘটনায় দোকানমালিক জয়নাল আবেদীন আপন দেবিদ্বার থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার জানান, এরা একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এক মাস আগের ওই চুরির ঘটনায় এই তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।