
চা-বিরতির ওভার দুয়েক আগেও মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের সংগ্রহের কাছাকাছি গেলেও যেতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও জশুয়া ডা সিলভার জুটিতে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
খোলনলচে পাল্টে গেল পরের দুই ওভারে। নাঈম হাসানের বলে ফিরলেন জশুয়া। বল তিনেক পরে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ব্ল্যাকউড। এরপর চা-বিরতি।
চা-বিরতির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস টিকল মাত্র ১৮ বল। বাকি তিন উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে গেল ২৫৯ রানে। বাংলাদেশ পেল ১৭১ রানের লিড।
২৫৩ রানে পাঁচ উইকেট থেকে আর মাত্র ছয় রান তুলেই গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ। সব মিলিয়ে সফরকারী দল শেষ পাঁচ উইকেট হারায় মাত্র ২৩ বলে।
দুই উইকেটে ৭৫ নিয়ে দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের প্রথম বলে তাইজুল ইসলাম ফেরান এনক্রুমাহ বোনারকে। এরপর অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট ও কাইল মায়ার্স গড়েন ৫৫ রানের জুটি।
ব্যক্তিগত ৭৬ রানে নাঈমের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ব্র্যাথওয়েইট। মায়ার্সকে ফেরান মিরাজ। এরপর ব্ল্যাকউড ও জশুয়ার ৯৯ রানের প্রতিরোধ।
নাঈমের বলে কাট করতে গিয়ে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জশুয়া। মিরাজের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খেলতে গিয়ে তিন বল পর ফেরেন ব্ল্যাকউড।
চা-বিরতির পর তৃতীয় বলেই মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেট বাউন্ডারিতে মোহাম্মদ মিঠুনকে ক্যাচ দেন কিমার রোচ। মিরাজের পরের ওভারে বোল্ড হয়ে ফেরেন রাখিম কর্নওয়াল।
দিনের শুরুর মতো ওয়েস্ট ইনিংসের শেষটাও টানেন তাইজুল। জোমেল ওয়ারিকান তাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন। অফ স্টাম্পে বল লাগলে বাজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের বিদায়ঘণ্টা।
মিরাজের চার উইকেটের পাশাপাশি দুটি করে উইকেট শিকার করেন তাইজুল, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাঈম।