
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করেোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ক্রয়চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তির আওতায় আসছে জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।
আজ রোববার (১৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরে সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাসের এ ভ্যাকসিনটি উদ্ভাবন করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতে ভ্যাকসিনটি উৎপাদন কবে সিরাম ইনস্টিটিউট।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি দেশে আসছে। গত ৫ নভেম্বর এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অক্সফোর্ডের যে ভ্যাকসিন আমরা নিচ্ছি, ৩ কোটি ডোজের জন্য সেটার পারচেজ ডকুমেন্ট আমরা সই করেছি। এটা আমরা সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছে আমরা পাঠিয়ে দেবো। তারা ১৫ তারিখের মধ্যে এটি পেয়ে যাবে।
কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আসতে পারে দেশে— এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি জানুয়ারি মাসের কোনো এক সময় আমরা এই ভ্যাকসিন পাব। এর আগে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। আমাদের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনের বিষয়ও আছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই এটি আমরা পাব।