
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারকে সভাপতি ও ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো: খলিলুর রহমানকে মহাসচিব করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২১ ও ২০২২ সালের জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।
কবির বিন আনোয়ার বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের একজন সদস্য। আর খলিলুর রহমান বিসিএস ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। উভয় কর্মকর্তা তাদের বর্তমান পদের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েল মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে কাজ করেন।
শনিবার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা, দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ও বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সভা ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়। মহামারীর কারণে সভা অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা পুরো দেশ থেকে একযোগে স্বতস্ফূর্ত অংশ নেয়ার সুযোগ পান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২০ উপস্থাপন করেন।
কোষাধ্যক্ষ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান অ্যাসোসিয়েশনের ২০২০ সালের অডিট প্রতিবেদন ও ২০২১ সালের বাজেট সভায় উপস্থাপন করেন। সভায় প্রশাসন ক্যাডারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসোসিয়েশনের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
এতে মহাসচিবের প্রতিবেদন ২০২০, অডিট প্রতিবেদন ও ২০২১ সালের বার্ষিক বাজেট অনুমোদন করা হয়।
সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন। নতুন কমিটির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস।

যুগ্মমহাসচিব পদে নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ বেগম ওয়াহিদা আক্তার। সৈয়দা সালমা জাফরীন, যুগ্ম-সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; বেগম সায়লা ফারজানা, যুগ্ম-সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ; মোঃ শওকত আলী, যুগ্ম-সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক ঢাকা মোঃ শহীদুল ইসলাম (পদাধিকার বলে)।
নবগঠিত কমিটি দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং বি.সি.এস. (প্রশাসন) ক্যাডারের সদস্যদের কল্যাণে ভূমিকা রাখবেন।